শেষ দিনের মতো স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বিচার ও বাণিজ্য বিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হতে হয়েছে ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে। দ্বিতীয় দিনের শুনানির কিছু চম্বুক অংশ আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
* মার্ক জাকারবার্গ প্রকাশ করেন তার নিজের তথ্য ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। কংগ্রেসওমেন আন্না ইশু জাকারবার্গকে প্রশ্ন করেন, ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের চুরির তালিকায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আছে কিনা? তিনি পুনরায় প্রশ্ন করেন- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য? জবাবে জাকারবার্গ বলেন : হ্যাঁ।
* মার্ক জাকারবার্গ বলেন সোশ্যাল মিডিয়া রেগুলেশন অনিবার্য।
* জাকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কলেজ ছাত্রাবাসে বসে। কিন্তু কলেজ ছাত্রাবাসে তৈরি করা প্রতিষ্ঠানটি আর তেমনটি নেই। ছড়িয়েছে বিশ্বময়। এক সিনেটর জাকারবার্গকে প্রশ্ন করেন, ফেসবুক কি ১৯৬৮ সালের নাগরিক অধিকার আইন মেনে চলছে? * কেন ফেসবুকের নেতৃত্বের দলটি আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ মেধাসম্পূর্ন হলো না। এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে জাকারবার্গকে। * ফেসবুকে ‘সন্ত্রাসী যোগাযোগ’ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জাকারবার্গকে। * ফেসবুক একক আধিপত্য চালাচ্ছে—এ ধরনের কিছু মনে করেন না জাকারবার্গ। * সব সময় ফেসবুকের একটি বিনা মূল্যের সংস্করণ চালু রাখার কথা জানান জাকারবার্গ। * ঘৃণ্য বক্তব্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভুল করার হার নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন। * ফেসবুকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের সম্ভাবনা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি উদ্বেগে আছেন। * ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নতুন টুল তৈরি করছে। উল্লেখ্য, ৪৪ জন সিনেটরের সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের বাণিজ্যবিষয়ক এবং বাণিজ্য ও বিচারক কমিটির যৌথ শুনানিতে ফেসবুক প্রধানকে ট্রেডমার্ক পোশাক টি-শার্ট, জিনস ছেড়ে কোট পরে হাজির হতে দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment