নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি মনে করেন, দলের মধ্যে ছোটখাটো মনোমালিন্য বড় বিভেদের কারণে পরিণত হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আবারো আমি বারবার বলছি, সময় নেই। ছোট ছোট মনোমালিন্য নির্বাচনের সময় বড় বিভেদে পরিণত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আকাঙ্ক্ষা যাদের আছে, সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসুন। জনগণের কাছে যান। নিজেরা নিজেদের সঙ্গে ঝগড়া করে কোনো লাভ হবে না।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে এখন থেকে দেশব্যাপী কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন এবং পোলিং এজেন্ট নির্ধারণের তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়েও কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কোটা বাতিলের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও হতাশ বিএনপি। তাঁর দাবি দলটি এখন সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে দেশের ভেতরে-বাইরে।
মন্ত্রী বলেন, ‘নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও এই দল রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। এই ব্যর্থতা নিয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। নেতিবাচক রাজনীতি তাদের পুঁজি। হাওয়াভবনের যুবরাজ আজ লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছেন। সেই দলের আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ সাড়া দেয়নি, সাড়া দেবে না।’
এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আজ ভোরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হিসেবে বিএনপি নিজেদের দাবি করলেও ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় অস্বীকার করে দলটি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা বিতর্ক করে, অস্বীকার করে, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্তি হবে।’
No comments:
Post a Comment